1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.i-tv.online : I TV :
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেয়াদ বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র শরীয়তপুরে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রবাসী আজিজুল বেপারীর সাংবাদ সম্মেলন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাড চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর হচ্ছে : মির্জা ফখরুল ছাত্রদের কাজ ক্যাম্পাসে মন্ত্রণালয়ে নয় : রিজভী মানুষের দাবি নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম চালাতে চাই: তারেক রহমান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ ন্যায় বিচার বঞ্চিত রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কী করবেন?

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের নানা সমস্যার পাশাপাশি কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ কিডনি রোগ-প্রতিরোধে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের বিকল্প নেই। অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের নানা সমস্যার পাশাপাশি কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ কিডনি রোগ-প্রতিরোধে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের বিকল্প নেই।

জীবনযাপনের ভূমিকা নিয়ে ডা. সোনিয়া মাহজাবীন বলেন, শরীরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণে যে বর্জ্যগুলো তৈরি হয় সেগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়ায় কিডনির মূল কাজ। সাথে কিডনির আরও কিছু কাজ আছে, কোনো কিছু যদি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত হয়ে যায়, যেমন তরলের মাত্রা যদি বেড়ে যায়, যদি লবণ বেড়ে যায় এসব নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি রক্ত তৈরিতেও সহায়তা করে কিডনি। কিডনির স্বাভাবিক যে কাজগুলো আছে সেগুলো যখন কিডনি করতে পারে না তখনই কিডনির রোগ হয়। কিডনির প্রধান দুই ধরনের রোগ হলো- এক. স্বল্পমেয়াদি কিডনি রোগ, দুই. দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ। স্বল্পমেয়াদি কিডনি রোগকে বলা হয় একিউট কিডনি ইনজুরি। যেখানে হঠাৎ কোনো কারণে কিডনি বিকল হতে পারে, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে এটি সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায় বললেন ডা. রেজওয়ান। কারণভেদে কিডনি রোগের লক্ষণও আলাদা হয়ে থাকে। স্বল্পমেয়াদি কিডনি রোগের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে প্রস্রাবের মাত্রা কমে যায় এবং রোগী বমি বমি বোধ করে। আর দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যখন রোগীরা অন্যকোনো সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে যান তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ ধরনের কিডনি রোগ ধরা পড়ে।

 

 

 

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের জটিলতা নিয়ে ডা. রেজওয়ান আরও বলেন, এক্ষেত্রে যেহেতু কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হারায়, স্বাভাবিক কাজগুলো না করায় কিডনির নানা জটিলতা দেখা দেয়। যেমন রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়, শরীরে পানি চলে আসে, প্রস্রাব কমে যায়, সহজে হাঁপিয়ে যান, বুক ধড়পড় করে, একপর্যায়ে ফুসফুসে পানি জমতে পারে এতে করে শ্বাসকষ্টও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আসলে কিডনি বিকল হয়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদি ডায়ালাইসিস করা লাগে তখন।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণই হচ্ছে ডায়াবেটিস। একজন ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে ধারণাই করা হয় ডায়াবেটিসের কারণেই তার কিডনি রোগ হয়েছে। এজন্যই বলা হয়, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মতান্ত্রিক হতে হবে।

যদি হয় রোগীর শুধু ডায়াবেটিস, তিনি শুরু থেকেই চাচ্ছেন কিডনি রোগ-প্রতিরোধ করতে। সেক্ষেত্রে রোগীকে ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করা বাড়বে না এরকম খাবার গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে চিনি জাতীয় খাবার প্রত্যাহার করবেন। মিষ্টি জাতীয় ফলও মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
 
একজন ব্যক্তি যার কিডনি রোগ নেই কিন্তু তিনি চান তার যাতে কিডনি রোগ না হয়। তাদের জন্য জরুরি হচ্ছে যারা ধূমপান করেন তা পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। একইভাবে অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া অনেক কোল্ড ড্রিংকস আছে সেগুলোও পরিহার করতে হবে। এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -(i-tv.online) ২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট